অভিযুক্ত হিসেবে নয়, বরং সাক্ষী হিসেবে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২০০ কোটি রুপির অর্থ পাচার মামলায় ভারতের অর্থনৈতিক আইন–কানুন প্রয়োগ ও আর্থিক অপরাধ দমনসংক্রান্ত সংস্থাটি গতকাল দিল্লিতে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই বলিউড তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, এই বলিউড অভিনেত্রী নিজেই অর্থ পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী জ্যাকুলিন নিজেই অর্থ পাচার আর প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ইডির সূত্র অনুযায়ী অর্থ পাচার চক্রের মূল হোতা সুকেশ চন্দ্রশেখর তাঁর সঙ্গী লীনা পালের সাহায্যে জ্যাকুলিনকে টার্গেট করেন। জ্যাকুলিন কিছুই জানতেন না। জ্যাকুলিন এই মামলায় অভিযুক্ত নন। তিনিই এই চক্রের শিকার হয়েছেন।
সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলার সাক্ষী হিসেবে জ্যাকুলিনকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে। জানা গেছে, জ্যাকুলিনকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আর তিনি ইডির আধিকারিকদের সামনে নানান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করেছিলেন। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, এক শীর্ষস্থানীয় বলিউড অভিনেতা তথা চিত্রনির্মাতা সুকেশের শিকার হয়েছিলেন। তদন্তের স্বার্থে সেই অভিনেতার নাম এখনো প্রকাশ্যে আনেনি ইডি।
দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখা ২০০ কোটি রুপি জালিয়াতির ভিত্তিতে যে মামলা করেছিল, তারই তদন্ত করছে ইডি। মামলার মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে আগে থাকতেই আরও জালিয়াতির মামলা আছে। সুকেশ এখন দিল্লির রোহিণী জেলে বন্দী। ইডি সম্প্রতি সুকেশের বাংলো, গাড়ি আর অন্যান্য সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে জ্যাকুলিনকে সন্দেহ করারও কারণ আছে।
কয়েক মাস আগে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সমুদ্রের পাশে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন এই অভিনেত্রী। শোনা গেছে, বাড়িটিতে দক্ষিণ ভারতীয় ব্যবসায়ী বন্ধুর সঙ্গে থাকেন তিনি। করোনাকালে সিনেমার বিরতিতে মিউজিক ভিডিও করে ভাইরাল হন জ্যাকুলিন। কিছুদিন আগে তাঁর ‘পানি পানি’, তার আগে ‘বড় লোকের বেটি’ মিউজিক ভিডিও ভাইরাল হয়। জ্যাকুলিনকে শিগগিরই দেখা যাবে ‘ভূত পুলিশ’ ছবিতে। সেপ্টেম্বরে ছবিটি মুক্তির কথা রয়েছে।